‘এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন জরায়ু মুখের ক্যান্সার রুখে দিন’ এই শ্লোগানে দেশে প্রথমবারের মত শুরু হলো নারীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান। সারাদেশে ১ কোটি কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (দোসরা অক্টোবর) বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) উদ্যোগে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের সব জেলায় শুরু হয়ে আগামী আগস্টের মধ্যে দেশের আটটি বিভাগের কিশোরীরা এই টিকার আওতায় আসবে। ‘গ্লোবাল এল্যায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন-গাভীর সহায়তায় এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা বিভাগের ২০ লাখ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে ব্যাপক সচেতনার আহ্বান স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে শিক্ষার্থীদের এইচপিভি টিকা গ্রহণে আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত করতে উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সারাদেশের স্কুলসমুহে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন করে এইচপিভি টিকা সম্পর্কে জানাতে মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম-ইপিআই’ লিফলেট ছাড়াও এইচপিভি টিকা সম্পৃক্ত সকল তথ্য ছড়িয়ে দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এদেশে নারীদের ক্যান্সারের সুরক্ষার এইচপিভি টিকা প্রদান একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যা নারী স্বাস্থ্যের সুরক্ষার পাশাপাশি নারীদের নিরোগভাবে ঘরে বাইরে কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে।
২ অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে ঢাকায় এইচপিভি টিকাদান শুরু হবে। তবে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিভাগের সকল জেলায় পুরোদমে শুরু হবে এইচপিভি টিকা প্রদানের এই কার্যক্রম।
আজিমপুর গার্লসের শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা দেয়ার মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মত জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার প্রয়োগ শুরু হলো।
আজ টিকা নেয়া ১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুলের সাতজন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন, ডিপিএস স্কুলের ২ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সরকারি স্কুলের একজন।